মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ভাষায় - নবী মুহাম্মদ সাঃ পৃথিবীতে রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। পৃথিবীতে মানুষ যখন অধর্ম অনাচার , পাপ পঙ্খিলতায় নিমজ্জিত, ঝগড়া কলহ, মারামারি হানাহানি ও যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই পথ প্রদর্শক হিসেবে আল্লাহর প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ সাঃ দুনিয়াতে আগমন করেছেন। আর এই মহা মানবের জীবনের প্রতি স্তরে স্তরের বর্ণনা উক্ত সীরাতে ইবনে হিশামে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

রাসুল সাঃ এর নবুওয়াত প্রাপ্তী, ইসলাম প্রচার ও প্রসার এবং রাসূল সাঃ এর নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ বিশেষ যুদ্ধের বর্ণনা, মদীনায় হিজরত, হুদাইবিয়ার সন্ধি, মিরাজের ঘটনা, মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, মক্কা বিজয় ও বিদায় হজ্জের মত লক্ষাধিক সাহাবাদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ভাষণ উক্ত গ্রন্থে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও উসামা ইবনে যায়িদ কে ফিলিস্তিনে প্রেরণ, পৃথিবীর বিভিন্ন রাজা বাদাশাহদের নিকট রাসূল সাঃ এর দূত প্রেরণ ।

সীরাতে ইবনে হিশামের অনুবাদক আকরাম ফারুক তিনি তার অনুবাদ গ্রন্থে রাসূল সাঃ এর স্ত্রীগণ বা উন্মুল মুমিনীনদের বিবরণ, তাঁহার রোগ সংক্রান্ত বয়ান, নামাজের জামায়াতে হযরত আবু বকর রাঃ এর ইমামতি, অতপর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও উমার রাঃ এর বর্ণনা অনুযায়ী বনু সায়েদা চত্বরে খলিফা বা আমীর হিসেবে আবু বকর রাঃ এর হাতে সার্বজনীন বাইয়াত গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর রাসূল সাঃ এর কাফন দাফনের সুষ্পষ্ট বর্ণনার মাধ্যমে সীরাতে ইবনে হিশাম নামক গ্রন্থের ইতি টানা হয়।

উক্ত সীরাত গ্রন্থ টি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যা নবী প্রেমে আশেকগণ বার বার পড়তে তাদের মন চাইবে। পরিশেষে বলা যায় প্রত্যেক মানুষের জীবনে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের পর নবী মুহাম্মদ সাঃ এর জীবন আদর্শ জানা এবং তদানুযায়ী মেনে চলা অপরিহার্য।